খুন্তি
তাদের হাত বৈদ্যুতিক বাল্ব চিবিয়ে খায়
যেমন করে টিকটিকির লেজের আঘাতে
অন্ধঘড়ির ঘাড় মটকে যায়।
তার পাশে যূথচারী কয়েকটি উটপাখি
রাশি রাশি
পেট্রোল খেয়ে উড়াল দেয় নিঝুম কুয়াশায়।
যেখানে পোষা ফুলের ছোবলে ঘুমিয়ে
পড়ে অ্যানাকোন্ডা
যারা একদিন শীৎকার সাঁতার
কেটেছিল পাথরগলা জলে।
সুতরাং জলের হৃদয় প্রসঙ্গ আসলেই
সমকামী বেদের এপিটাফে ভেসে যায়
ময়ূরপঙ্খী।
সেই সকল ময়ূরপঙ্খী চড়ে
আমাদের গাঁয়ে আসে পরপুরুষের পাঁচালি,
তখন আমাদের মাতাগণ হ্যাজাক
জ্বেলে জরায়ুতে নিয়েছে হাঁড়িচাঁচা গীত।
তাই আমি এখন সেই জারজ–যার
পাঁজরে হাঁটে লাল কাঁকড়া।
মগজ
বৃক্ষের কোনো মগজ নেই
তবুও খাদ্যের অভাব দেখা দিলে
নিজের পাতা ঝেড়ে ফেলে।
কিংবা অন্ধ তিরেসিয়াসও জানে না–
পাখির মলে লুকিয়ে থাকা বীজ
পরগাছা হবে কিনা।
তবে তিনি জানেন যে–
বেশীর ভাগ ফল গাছ থেকে পড়লে
পাকা হয়।
অথবা কবর চাষাবাদ করে মানুষ
পুঁতলেই
কংস হওয়া যায় না।
তার পূর্বে পড়ে নিতে হয় জেনটাই।
শিল্পের নামে বনসাঁই
উভয় লিঙ্গের কেঁচো ছাড়া আর কিই-বা হতে পারে
তবুও মেঘবালিকা আকাশে উঁড়িয়ে
দিয়েছে জেলিফিশ।
আর লাটাই হাতে দাঁড়িয়ে থাকা
মগজহীন বালক
ইঁদুর দাঁতে কেটে দিচ্ছে নাশপাতি জরায়ু।
এ কথা ভেবে বন্ধ্যানদের স্রোত–আর
কত দূর যেতে পারে।