ছক
চক্রের ঘেরাটোপে যে ডোবে সে ডুবতে
ডুবতে ভাসিয়ে দেয় চারদিক। ডানাহীন
উড়াউড়িতে যে ওড়ে সে নিজেই জালের
গ্রন্হির সাথে ক্ষত বিক্ষত হতে থাকে। এ
নির্ঘাত ছকহীন ঘুমের যাতনা।যাকে তুমি
বিশ্বাস করে ভালোবেসে সংজ্ঞায়িত করে
কাছে বসালে সেখানেও প্রশ্ন ছোবল তুলে
ফণা হয়ে তোমার নাকের ডগায় দুলতে
দুলতে এক হাত দেখিয়ে ছাড়লো!বোঝো
এবার ভুবনডাঙা কতদূর!পথে প্রান্তরে
দৃষ্টিও ছুটে চলে নিজস্ব নিয়মে। ঠোঁটের
কিনারে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে যে রুচির গল্প
সাজাতে চায় সে নগরের কতটুকু বোঝে?
যেরকম দুনিয়া ভাবো সেরকম নন্দিনী
কোথায় পাবে তুমি? নাগরিক জীবন মানে
ছকযুক্ত সব সবকিছু।একদা বেহিসেবী
জীবনে কবিও ট্রামের আলতো ছোঁয়ায়
জীবন বোঝেনি!অভাবিত ভাবেই মায়া
মরীচিকা হয়ে দুরাচারী হয়ে যায়। মধ্য
প্রহরে মন জ্বলে ধিকি ধিকি ক্রন্দনের
জলে ভেসে যায় অতিবৃষ্টির দহন। তৃষ্ণা
ও ক্ষমতার মগ্নতা মৎস শিকারীর স্বপ্নের
ভেতরে বিদ্যুৎ খেলে যায়।যথারীতি সময়
ও মুহূর্তসমূহ ছুটে চলে গন্তব্যহীন …
সংশয়
বদলে যাচ্ছে জটিল সূত্রসমূহ । মন থেকে মস্তিষ্কের দূরত্ব
কতদূর তুমি জানো?কোনো তাৎপর্যই এখন অস্পষ্ট
নয়।প্রস্হানের মূল তরঙ্গ দৃষ্টান্ত স্হাপনের জন্য যথেষ্ঠ
নয়।দেরিদার বিনির্মিত বয়ান উপলদ্ধির জন্য জটিলরহস্য
খুঁড়ে খুঁড়ে সত্যউৎসের মুখোমুখি যদিও তারপরও দ্বিধা
ও সংশয় থেকে কেউই মুক্ত নয়।কে বদলে দেবে প্রয়োগ?
কোনো স্হির লক্ষ্যের দিকে ইতিবাচক প্রাসঙ্গিকতা শনাক্ত
করাও আজ দুঃসাধ্য।পুনর্নির্মাণের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি
থাকে না।নিরবচ্ছিন্ন হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় অস্তিত্ব ও স্বপ্ন
তাহলে কী জ্ঞান ও সত্তা বলে কিছু নেই? অপেক্ষা সর্বদা
সমাপ্তিহীন।প্রতিশ্রুতি বলতে আসলে কিছু নেই!সংশয়
ক্রমবর্ধমান গতির সাথে তাৎপর্যহীন।একটি দুঃস্বপ্ন
ক্রমাগত অনুভূতিগুলোকে ভোঁতা করে দেয়।তীব্র আবেগ
জাদুর বলের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে যায়।অনুসন্ধিৎসা বলতে
ফ্যাসিবাদের উথ্থান ,বিপর্যয় আর মর্মহীনতা। চূড়ান্ত সম্পর্ক
বলতেও সত্তার উপলদ্ধিহীনতা।অতএব জীবন ও প্রেম আজ
পুঁজিবাদের শিকার।সেই থেকে অন্ধকার গা ঢাকা দিয়ে আছে
২৩/৯/২০২১
সেন্ট্রাল রোড,ঢাকা