ত্রিকালদর্শী আগুন
মধ্যরাতে নিদ্রার ওপর উছলে ওঠে ত্রিকালদর্শী আগুন,নীল
পাহাড়ের কার্পেটে জমে আছে স্মৃতি ও শীতের কুয়াশা।তুমি
আসবে বলে সবুজ রেলগাড়ি দুরন্ত হাওয়ায় মেলে দিয়েছে
ডানা। মাচানের পাশে মগডালে ঝুলে আছে নৈঃশব্দ্যের
আলজিভ;এখন শীতকাল শেষে চাবুকের আড়ালে জেগে ওঠে
গাছেদের শিহরণ ,সদ্যউন্থিত সবুজ পাতার মেদহীন শরীরে
মুগ্ধ চাঁদের ছায়া আর আর্তুর র্যাবোর কাব্যকলাসহ মদের
উল্লাস বেজে ওঠে ।বৈশাখের দিনের শেষে অগ্নিপরীক্ষার নুনজল
লাটাইহীন নাবিকের থেমে যাওয়া ভোকাট্টা ঘুড়ি বেসামাল
উড়তে থাকে দ্বিধাগ্রস্ত হাওয়ায় ।কে কাকে অনুগ্রহ করে ?
অপেক্ষার দিনগুলিতে দৃশ্যপট উল্টে গেলে উপেক্ষা পাশ ঘেষে
বসে ।তারপরও ভাবনার ভেতরে ক্লেদ ও কোমলতা রংধনু
হয়ে রাঙিয়ে দেয় মন । আমার স্বপ্ন শৈশব আর বিমর্ষ হাওয়ায়
জেঁকে বসেছো তুমি !তোমার বৃত্তান্ত সংগৃহীত মদপাত্রের মতন
দিবসের রঙিন আলোয় তুমি হাটঁতে থাকো পুরুলিয়া থেকে
গড়িয়াহাট ।অপ্রচলিত পাখিদের ডানায় ভেসে বেড়ায় মুগ্ধ
চিত্রকলা ।তোমার অতীত গ্রীষ্মের জ্বলন্ত চায়ের কাপ আর
ভবিষ্যৎ ডিসেম্বরের পরিণত বরফের চাঁই ।অদ্ভুতভাবে হেলে
পড়েছে সম্পর্কের চাকা !শেষ দৃশ্য শনাক্ত করবার মতো উত্তাপ
কারো ভেতরেই আর ছিল না। কেবল সমুদ্রের কান্না প্রবল
জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচিছল আর শহরের শেষ অন্ধকার