দার্জিলিংয়ে

মেঘ ভেঙে ভেঙে
ধবধবে বিছানায় কাদা
হল্লার চিহ্নে যত

আমরা পুঁতেছি মেশিন
একই ইঙ্গিতে কাঁপে
দুজনের কারখানা

যেন ফুলেরও হীম জ্বলছে
গুটিকয় পাইন চলছে আরো শূন্যে
আর আমাদের অকৃষি শুরু

নিচে দেখো, ওই তো,
লাঞ্ছিতার চারাপাখি
ছাপড়ার পলিথিন
ওই তো ছিঁড়ছে হাওয়ায়

নিজের শয্যায় বুদ্ধের বরফ
লেপচা নারীর টগবগে চায়ের জল
সেবন্তী খোলে কলোনি কলোনি
আর হঠাৎ সন্ত্রাসের ছাই

আমরা যাইনি একসাথে
তবু ইঞ্জিনের আঘাতে
ভেবেছে আমাদের হৃদয়

পরমের আয়না

এখানে দেখেছি ফের, এই দরজা থেকে
বিদায় বলেছি তাকে; শূন্য হতে আরো
বলেছি হে নিরাকার।
রয়ে গেছো তুমি
আমাকে বাজাবে বলে? মর্মের আগুনে
পোড়াবে যা ছিল সর্বনাশ?
এই আমি
নিজেকেই দরজা ভেবে বলেছি বিদায়!

Scroll to Top