নির্বাসনে দান্তে
ফ্লরেন্সে ফুটেছে ফুল, মনোহর আলোর প্রভাত
দৃষ্টিপথ কিচিমিচি হৃদয়শহরে মাটি—সোনা
প্রকৃতির জ্ঞানপীঠে ঘুরতে ঘুরতে উঁচু—টিলা
পূর্বসূরি মহাকবি ধূলোপায়ে দীক্ষায় প্রার্থনা।
স্বর্গের হুর মৈনাকে, অপরূপা রসের ফাল্গুন
বেহেস্তের দরজায় চোখটান নরকে—নূপুর
পাপখাতা খুলেদেখে কৃতকাজে আগুন ডেরায়
দৃশ্যছায়া অগ্নিদেবি মেঘঢেকে নতুন হরফ।
মনোঘরে প্রেমেঘ্রাণ কল্পনার সৃষ্টির জগৎ
জানেনা সে স্বপ্নঠোঁটে বহুবার নিপুণ মিলন
সহসা বাতাসে ঝড়, অন্তিম সানাই কানে বাজে
ধুমকেতু ঝড়েপড়ে নীরবে দাঁড়িয়ে ছবি দেখে।
দ্রোহেপুড়ে কবিদান্তে শব্দগুচ্ছ অমৃত আয়না
লোভিলিপ্ত ক্ষুদ্রস্বার্থে গ্রামীণ শহরে দুই—দল
কথার আড়ালে পথে রক্তস্রোত সাদা আর কালো
শান্তির মিছিলে ডাক, গ্রহদেশে উজ্জ্বল আগামী।
ধর্মসাধু আশ্রমের শান্তিদূত শোনেনা আলাপ
অন্ধকারে বাহুঘোরে কৃষ্ণপক্ষে গোপনে আতিথ্য
মিথ্যাখরা বিনাদোষে জরিমানা উৎকণ্ঠ জীবন
নিষ্ঠুর পাহারা তীর, জীবন্ত পুড়িয়ে দিন—লিপি।
শেকড়ের গুপ্তঘূর্ণি রক্তপিপাসুর বিষ ঢেলে
দলবেঁধে রথেযাত্রা ব্যার্থতা কপালে ফিরে আসে
নির্বাসনে বিশবর্ষা ক্ষতবুক নাভির সৌরভ
নক্ষত্রবাগানে দিকে দৃষ্টিপাত বিশুদ্ধ বিষাদ।