সবরকমের ক্যালকুলেটর

যেকোনো জন তিনজন; ভেতরে এক আমি—তুই

আমি—সে আমি।

বিদেশ খুললে সিন্দুক, দেরাজ খুললে স্বপ্ন।

পরিস্থিতির ভেতর বহু অ্যাকোস্টিক গিটার। অনবরত

পাতাবাহার। গুনগুন।

বাদকটি স্নান করে—গাভর্তি ঝরাপাতা।
বাদকটি আরও সুন্দর—কখনো-বা উঁকি দিয়ে বসে

বিশ্বভরা নিরজন।

যখন তুমি ধানখেত। তখনো অন্তরে-বাহিরে সুনিবিড়

এবং আমি একা।

একার কোনো বন্ধু হয় না জেনে আলো বলে

হারিকেন কখনো একা নয়
এবং তখনো একজন একার রক্তচাপ বেড়ে উঠেছে

আরও বাড়বে।

এ তো এক ধরনের সমর্থন। পাশাপাশি রকমের

বিরোধিতা। বহুবর্ণ দেখবার তুক। ময়নাপাখি অথবা

আপাতত স্তন খুলবার মতলব।
সুতরাং শরীর সম্পূর্ণ এবং অর্গ্যানিক।

ধরা যাক, বাগান মেখে এসেছে ময়ূর। সারা দিনের

ঘোড়া ফুলকি উড়িয়ে এলো কেশর। শৃঙ্গার অথবা

টিউবওয়েল থেকে পানি ভাঙাচ্ছে কেউ!

এরও পর তুমি একজন তুমি এবং সকাল খোলার

দ্বন্দ্ব-দ্বিধা কিংবা কর্মধারয় অথবা চালাক-চতুর

কিংবা বাঘাবাহিনী।

চারদিকে লকার—একার সঙ্গে একা থাকার কত কত

আহার-মাংস-পদ্ধতি!
দ্বিগু নিক্বনে তুমি দিন দিন এত সুন্দর হচ্ছ কেন?

স্মৃতি এবং স্মৃতি পরবর্তী নাম



নাম এবং নাম পরবর্তী শিসডাক
প্রত্যেকের অহংকার আমাকে গর্বিত করে।

তোমার হাতছানির আড়ালে সকালবেলার সাইকেল
ঝুড়িভর্তি পাখির খাচার ক্রিং ক্রিং ভেসে যায় বন্ধুমহল।

পেছন-ক্যারিয়ারে বসে যে নামটি নাতিদীর্ঘ সেতু পেরিয়ে মেঘের ওপরে
চলে গেল
সঙ্গে আমি যেতে পারতাম
ভ্রমণে না গিয়ে বাঘের পদরেখার ভিড়ে আজ খুঁজছি
একটি নামের হারানো চপ্পল

স্মৃতি, তোমার নাম আদতে ঘণ্টাধ্বনি কি না? কে যেন তোমাকে
ফ্রক পরা হারিকেন বলে পরিচয় করিয়েছিল!

ওসব লাট্টু রেখে চলো ধূসর পোস্টকার্ড বার করি
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখি জন্মদিন থেকে মৃত্যুদিনের লেফাফা।

Scroll to Top