সব চরিত্র কাল্পনিক
এমনকি আমিও তুমিও
চরিত্রহীন বাতাস এবং রোদ্দুর
তবে তুমি কেন নও?
গ্রন্থাকারের মগজে কোনো চরিত্র ছিলো না
দেহ থেকে দেহান্তরে ঘোরে চরিত্রচক্র
দাঁত আর ঠোঁট বাদ দিলে মুর্তিতে হাসি ফোটানো যায় না
ফুল এবং গাছেরা ঘুরছে ডাস্টবিনের মেলায়
বাগানেরা নিরুদ্দেশ
সব সখিরা পার হয়ে যায়
কিনারায় কিনারায় ঢেউ ঢেউ খেলা
বিভাজনের বার্তাবাহক চরিত্র চেনায়
প্রজা এবং পতির কোনো পাখনা নেই
উড়াল উড়াল কিশোরি মন
ওড়নার প্রতিস্থাপন, হাতের ওঠানামা আর পাখির ডানাঝাপটানো
এসব অংকে মেলানো যায় না
চরিত্ররা মগজে থাকে স্তনে কিংবা জননাঙ্গে নয়।
কুহকপাচালী
পলাতঙ্ক কালকুহক। পেরোতে পারা
পড়শিরা বৈষ্ণব গেরুয়া। মদ্যপ চাঁদ
গলধঃকরণ এবং মজুদ জ্যোৎস্নায় গায়েপড়া রাষ্ট্র। সংবিধান থেকে
অক্ষরেরা উঠে আসে আসরে, হাসাহাসি হয় অনক্ষর-রাত
আর চন্দ্রবিন্দুর সাথে।
মদাতঙ্কে সিটি ও পাড়াগাঁ। মেয়র ঝাট
দেয় মল ও মূত্র। মানুষের মগজে মজুদ
সেইসব। ট্রাফিক বাঁশি হুইসেল। শুয়োরের পাল কিলবিল। পরী নামা
শহরে জ্বীনেরা উধাও। খবরজুড়ে
কেবল পরীনামা।
কোনো শাখা নেই
থাকি প্রশাখায়
কাণ্ড ঝোলে বানরের লেজে
জ্ঞানশাখা খেয়ে গেছে এলিটবেঙ্গল বাঙালেরা মজে গেছে মজামিডিয়ায়
কাদা হাতড়ে পলোঝাপ! বোয়ালেরা বৃন্দাবনে।