অদূরে দেখি মা আমার
ভুল হচ্ছে জেনেও ভুল করে চিলমচিতে হাত না ধুয়ে তামার ডেকচিতে হাত দিয়েছি পায়েসান্নের লোভে। এতো তাপ, পাঁচ আঙুলে ফোস্কা নিয়েও হাত বাড়িয়ে রেখেছি। সতর্ক রাঁধুনি ডেকচিতে ঢাকনা বসিয়ে দিলে আমি ভাদ্রের তালপিঠা আর আশ্বিনের মধুভাতের লোভে তাকিয়ে রইলাম শূন্য রেকাবির দিকে। চোখধাঁধানো বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের আলপথ ধরে দৌড়াতে দৌড়াতে কিষাণীর উঠোনে পৌঁছে দেখি, তলইয়ের ওপর জালাধান সবেমাত্র শুকোতে দিয়েছে।
শৈশব – কৈশোর খুঁজতে গিয়ে ক্ষুদেপানাভরা পুকুরে ডুব দিই, পাটিপাতার ঝোপে বুকে ছানা আভলে ভয়পাওয়া ডাহুক আর একঝাঁক আদুরে পোনা নিয়ে শোলমাছটি সরে যায়।
অদূরে দেখি মা আমার, কাপ্তাইবাঁধের গেট খুলে দেয়া কর্ণফুলীর বুকচেতানো বানের জলের তোড় দেখে ছোটবোনটাকে বুকের সাথে লাগিয়ে মাটির বাড়ির ডেইলার ওপর দাঁড়িয়ে জোরে জোরে দোয়া ইউনুস পড়ছেন।