জলের কান্না কেউ বোঝে না
একপ্রস্থ মেঘ হতে চেয়েছ, কিন্তু দেখতে পাওনি
চোখের ওপারে গুঞ্জন করছে মেঘের বোনেরা
ওরা সমবেত সুন্দর, জলের নূপুর পায়ে গলিয়ে
ছলাৎছন্দে নেমে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মেঘ ঝরলে ভেসে যায় প্রত্যাশার প্রান্তর
থইথই খাল—বিল, শহুরে সড়ক ও অসুস্থ নদী
শ্রমিকের পা সাঁতরায় দৈনন্দিন হাজিরা খাতায়
আহা মেঘ! জলের আল্পনা এঁকেছ সকল মর্মে।
ভাটির বালিকা জানে—প্রত্যাশার এইসব গুনগুন
আর জলের ঘূর্ণির ভেতরই সংগুপ্ত থাকে জীবন
তবু জল ও স্রোত মনুষ্যসৃষ্ট অঁাধার বুকে নিয়ে
একত্রে ভেসে চলে ভাটিসুখে।
সঙ্গনিরোধ বর্ষায় ভেজার বাসনা তীব্র হয়
অথচ মেঘভাঙা জলের কান্না কেউ বোঝে না!