ভাঙ্গনের গান
১
শরীরটা তো কিছুটা ছায়া আর কিছুটা মায়া,
আশ্চর্য অশ্ব এই ! গতিতে হেরেছিলো যুদ্ধবাজ পাখি, আজ
তার সন্দেহ চোখ দেখে নেয় চতুর্দিক, জুয়ারির খাতায় লেখা হয়
হুল্লোরবাজ জকির হিংস্র আঁচড়, রূপালি মুদ্রায় তুকতাক
শূন্যতার রঙ মেখে গান গাও, ভাঙনের বিষন্ন গান ।
২
তাঁকে বৃষস্কন্ধ বলে জানি, যতটা ভাবছ
সে তার থেকে দীন । চাপিয়ে দিয়েছো বোঝা ।
যাত্রা সঙ্গী হলে, সে তো পতনের মুঠো মুঠো মাটি
যতটা ভার বইতে পারে পেশী
তার চেয়ে বেশী দীর্ঘ ছায়া তার দেখি
৩
দুধসাদা বাতাসে বিঁধেছিলো চড়ুইয়ের ক্লান্তিহীন ডাক
ঠোটের নীচে তার রোদ্দুরের আঁচর,
কাঁধে মিথ্যার নীল পতংক, তার অলীক খোলস
সন্ধ্যা এলে পাখির ডানায় নামে প্রলাপের ছায়া
অচেনা সন্ধ্যা শাঁখ, বেজে ওঠে মায়া বিনোদনে
৪
‘করতলে বজ্র ছিলো যুদ্ধদিন’, এই মিথ্যের মন্ত্রে সন্ধ্যা নামে
মুঠো থেকে আগুনে ঢেলে দিলে ভিক্ষান্ন, ধ্রুবশিখা
পোড়া মুখ উড়ে যায় স্বেচ্ছাচারী অপরাহ্নের তাপে ।
পৃথিবীর মহার্ঘ প্রদীপ সেদিন বজ্রের ভঙ্গিতে
মেঘবর্ণ করতল থেকে ভেসে গেলো তিস্তার ক্ষুব্ধ জলস্রোতে