ভাষা-দূষণের বিপক্ষে একটি প্রেমের কবিতা
অবসান হোক সব ভাষা-বিতর্কের। তোমার-আমার!
তোমার ইশারা-ভাষা কবেই নিয়েছি রপ্ত করে;
কী করে এখন ফাঁকি দেবে বলো? তোমার ভ্রুভঙ্গি
থেকে নেমে আসে প্রণয়ের ঢল; আমি ভেসে যাই!
ভেসে যেতে যেতে খুব হৃদয় নাচাই; বলতেই পারো :
ডানা তোলা রাজহাঁস; দেয়াল টপকে রোজ সীমানা
বাড়াই। ভাষা-দূষণের পক্ষদলে কে লেখায় নাম?
তাকে আজ রেখে আসি ধু-ধু শূন্যতায়! সবুজ বিহঙ্গ
থেকে কোনো সুর পাবে না সে জানি! সকল পাহাড় তার
বিপ্রতীপে দাঁড়াবেই। তুমি যে ভাষায় বলো সেই কথা :
আমি ঠিক অনুবাদ করে নেবো! আমার ট্রান্সলেটরে
শুধু শব্দ নয়, ধরা পড়ে অর্থসহ অনুভূতিরাশি!
মিহিমায়া সুরে বুকের গোপনে বাজে করুণ সেতার!
অবসান হোক সব ভাষা-বিতর্কের। তোমার-আমার!
ভালোবাসার গান
ও ময়ূরপঙ্খি নাও
ঝিরিঝিরি বাতাস ভেঙে কোন সুদূরে যাও?
এক সবুজভরা গাঁয়ের বুকে
উদাসী এক পরি থাকে
তাহার কথা নিতুই ভাজে
জলের হিজলবন
গোমতী তীরের বরুণসখা
জানে নদীর রঙিলা মাছ
কোথায় কুঞ্জবন!
ও ময়ূরপঙ্খি নাও
ভাটার স্মৃতি উজানে বও
টানো পরান ধরে
সন্ধ্যা হলে চাঁদের আলোয়
সিনান করো
শরীর উদোম করে!
প্রাণের সখা প্রাণেই থাকো
ফুটুক কদম বনে
ভালোবাসি তোমাকে তাই অতি সংগোপনে!