শুধু একটি বর্ণ
আদিগন্ত ছড়ানো ছিটানো অক্ষর গুছিয়ে
একটু আশ্রয়,একটু প্রশ্রয় লিখবে বলে মানুষ
অদৃশ্য আস্তিনে র-ফলা,য-ফলা,রেফ,আকার, একার-ওকার নিয়ে এক দুইকে,দুই তিনকে,
তিন চারকে….পরস্পর আঘাত করে রক্তাক্ত করছে,
জখম আঁকা হচ্ছে হৃদয়ে, মনে-মনে এ ওকে,
ও একে ধরবার প্রত্যাশায় চরকিবাজি করছে
পৃথিবীর এককোণা থেকে আরেক কোণা!
শুধু একটি প্রিয় বর্ণ,শুধু একটি শব্দের যথাযথ রূপায়নের জন্য কাঙাল মানুষ, মা-বাবা,আব্বু-আম্মু, রান্ধনশালা কেটে মসজিদ-মন্দির, তুলসী তলা, নিকানো উঠোন,স্নেহ-চুম্বন থেকে স্তন,যোনি,লিঙ্গ সবই লিখে দিতে পারে মহানন্দে!
মায়ের কান্না মোছানোর কিংবা মাতৃঋণ শোধের সাধনা হয় না!চরম পিপাসা থেকে বাঁচতে হারামি মানুষ তোমার স্তনে মুখ ডুবিয়েছে, সুযোগ পেলেই বসিয়েছে নখ-দাঁত।ক্ষমা চাই করজোড়ে।পায়ে মাথা রেখে কাঁদি।চোখের জল মোছানোর চেষ্টা করি।অকপট বলি,এসবের জন্য একটি বর্ণও লেখা হয়নি…
__________________
ভজন দত্ত
২৫২,স্কুলডাঙা, বাঁকুড়া, পঃবঃ,ভারত
পিন-৭২২১০১
চলভাষ- ৮৯১৮৭৫৪৭৪৮.