ইকবাল হাসান

ইকবাল হাসান, কবি ও গল্পকার। সত্তরের জনপ্রিয় উল্লেখযোগ্য কবিদের অন্যতম। জন্ম বরিশালে, একটি বিদেশি মিশনারি হাসপাতালে, ১৯৫২ সালের ৪ ডিসেম্বর। পড়াশোনা, অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান)। বসবাস, জার্মানী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বর্তমানে কানাডার টরন্টো। পেশা, দেশে সাংবাদিকতা এবং বিদেশে কখনো ব্যবসা, কখনো স্রেফ শ্রমজীবী। প্রকাশিত গ্রন্থ, অসামান্য ব্যবধান (কবিতা ১৯৮৬), মানুষের খাদ্য তালিকায় (কবিতা ১৯৮৬), জ্যোৎস্নার চিত্রকলা (কবিতা ১৯৯৫), দূর কোনো নক্ষত্রের দিকে (কবিতা ২০০০), জলরঙে মৃত্যুদৃশ্য (কবিতা ২০০৩), কপাটবিহীন ঘর (গল্প ১৯৯৪), মৃত ইঁদুর ও মানুষের গল্প (গল্প ২০০০), দূরের মানুষ কাছের মানুষ (ব্যক্তিগত নিবন্ধ/ এলবাম ২০০০), আশ্চর্যকুহক (উপন্যাস ২০০২), শহীদ কাদরী কবি ও কবিতা (সম্পাদনা ২০০৩), ছায়ামুখ (উপন্যাস ২০০৪), কার্তিকের শেষ জ্যোৎস্নায় (গল্প ২০০৪)। শখ, পড়া ও লেখা, আড্ডা ও প্রেম, দেশভ্রমণ এবং এসব নিয়ে কোনো রকম বেঁচে থাকা। প্রিয়স্থান, রাঙামাটি।

Avatar photo

অনুকবিতা

রাত্রি তুমি আমার মুগ্ধ প্রেমতুমি আমার ক্ষমাতুমি আমার দিনের শেষেরাত্রি তিলোত্তমা। বৃষ্টি যেদিন তোমায় প্রথম দেখিবৃষ্টি ছিল খুবতোমার চোখে আমার ছায়াকাঁপছিল নিশ্চুপ। কষ্ট আকাশ থেকে কষ্ট নেমেলেকের জলে ভাসেআমি তোমায় ধারণ করিগোপন দীর্ঘশ্বাসে। মন আকাশ জুড়ে দেখতে পেলামএক পলকের উঁকিমন বলছে, এই শ্রাবণেতোমার দিকেই ঝুঁকি।

ডিপঘুম থেকে জেগে উঠে

ডিপঘুম থেকে জেগে উঠে

রোমান্টিসিজমের এনেসথেশিয়া নিয়ে তুমি এখোনওডিপঘুমে। ধীরে ধীরে একদিন চোখ খুলে যাবে-দেখবে তখোন, তোমার চারপাশটা খালি, শূন্য হয়েআছে। আর তুমি একটা অন্ধকার ঘরে মৃত মাকড়সারমতো শূন্যে ঝুলে আছো, একা। বাইরে তলিয়েআছে বিশাল পৃথিবী। তোমার পাশে কেউ নেই আর !এমনকি পিঠের জন্মদাগে, উষ্ণ ঠোঁটে, স্তনের বোঁটায়,নাভিমুলে, যোনি ও জঙ্ঘায় অবাধ বিচরনের অধিকারএকদিন যাকে তুমি দিয়েছিলে – সেও […]

Scroll to Top