রক্তের ভাষা-১২ অবশেষে আহা ফিরে এসেছে স্বস্তিবেঁচে থাকা ভালো, মরে যাওয়াটাও ভালো। প্রতিদিনই কেন খেতে হবে ভাত-রুটিমাঝে-মাঝে টানা উপোসও মন্দ নয়। কিছু লোক আজ খাক-না স্বর্ণ-হীরাউপোসী পেটে কিছু-না-কিছু তো সয়। দিনশেষে দেখি সবাই ঘরোয়া শহীদ রক্তের ভাষা-১৩ কেউ হেঁটে যান হাটে, কেউ নেচে যান মাঠেহাতে-হাতে আজ পতাকা ওড়ে মৃত নদীর ঘাটে। তোফা আছি বোন, তোফায় […]
কবিতা
হুলিয়া
আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলুম তখন দুপুর,চতুর্দিকে চিকচিক করছে রোদ্দুর—’আমার শরীরের ছায়া ঘুরতে ঘুরতে ছায়াহীনএকটি রেখায় এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ চিনতে পারেনি আমাকে,ট্রেনে সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে একজনের কাছ থেকেআগুন চেয়ে নিয়েছিলুম, একজন মহাকুমা স্টেশনে উঠেইআমাকে জাপটে ধরতে চেয়েছিল, একজন পেছন থেকেকাঁধে হাত রেখে চিৎকার করে উঠেছিল;—আমি সবাইকেমানুষের সমিল চেহারার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।কেউ চিনতে পারেনি আমাকে, একজন […]
সুহিতা সুলতানা’র একগুচ্ছ কবিতা
অপরাহ্ন একদা রুশ বিপ্লবের চিন্তা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরতো যারাতাদের দক্ষতা ও সমন্বিত ধারনা প্রেমের চেয়েও উৎকৃষ্ট ছিলযা উপলদ্ধিজাত নয় তা অচিন্তার ধারক হয়ে ক্রাচে ভর করেআধিপত্য বিস্তার করতে চায়।বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতেআধুনিক সমাজের উপযোগী করে তুলতে চায় যারা তারাওআজ ভয়ে থিতু হয়ে হাত পা ছড়িয়ে ঠোঁটে কামড় দিয়ে বসেআছে । তাদের কাছে আস্ত ফুলের […]
বিস্মরণ
তারপর নদীর ওপারে জাহাজভাঙা শিল্প পেরিয়ে আমরা চলে যাবো আরো দূর গ্রামে আলপথ হেঁটে গিয়ে অচেনা বাড়ির উঠানে চাপকল চেপে খাবো শীতল ঠাণ্ডা পানি রোদে আর গরমে ও ঘামে তোমার মায়া মায়া কাজল ছড়িয়ে যাবে সারামুখ অধর তার কালিমারঙ আভায় তোমাকে লাগবে বেশি সুন্দর আমি বলবো হাবিজাবি অতীতের কথা তুমিও বলবে কত না ক্ষির খেয়ে […]
কুয়াশামাখা সমুদ্র
আব্বা বলতেন, আদার বেপারী হয়েজাহাজের খবর নিতে যাওয়াআর পানিতে টাকা ফেলা সে একই কথা! জেনেছিলাম, জাহাজ চলে সমুদ্রে——পাগলায় যেমন চলতো ভাদুচাচার গুজরঘাটের লা;তখন আমি গাজী গাজী বলে নৌকা চালানোমতলব মিয়ার মেঘনাও দেখিনিঅথচ আই এ সিক্স্থ স্ট্যান্ড করায়একবার জাহাজে চড়ে সমুদ্র দেখারআমন্ত্রণ জুটেছিল;সেও আবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে!এ যেন লাফ দিয়ে এভারেস্টে ওঠার স্বপ্ন! কিন্তু গ্রামীণ পোস্টাফিসের […]
পথ
সোনার তারে ঠিকরে উঠল মেঘছেঁড়া শেষরাত বৃষ্টিধোওয়া গাছের পাতায় শান্ত হাওয়ার গান কত জন্ম পেরিয়ে এসে ধরেছি এই হাত একলা পথে তোমার ছায়া আমার পরিত্রাণ মহামারী বন্যা ঝড়ে ধ্বস্ত শহরগ্রাম পেরিয়ে যাচ্ছে রুদ্ধ সময় শ্মশান কবরভূমি অন্ধকারে মিলিয়ে গেল কতই প্রিয় নাম শব্দে প্রেমে গড়ছি যাকে, সেও কি নও তুমি! স্তব্ধগহন শোকের ভেতর একটি মুখের […]
তাহাদের কথা
(সুমিতা ধর বসুঠাকুরের প্রয়াণে) আপাতত মুলতুবি আমাদের শেষ দেখাশোনা আকাশের ছাদ থেকে শাড়ির চিহ্নটুকু তবু মুছে ফেলা গেলাে না গান গাইতে গাইতে যে মেঘগুলাে উড়ে গিয়েছিলাে আলতাসেঁকা দুটো পায়ে তাদের কান্নার সরগম ভুলে যাবার আগে পর্যন্ত অবিচুয়ারির শেষ শব্দটি যদিও বাতাসের এককোণে চুপ করে বসে ছিলাে বৃষ্টির পালক যতােক্ষণ না মল্লারে পথ হারায় বেহেস্তের কিনার […]
একটি ভিন্ন সিলেবাস
সুখের ভেতরে একটি বিসর্গ দিলে সুখ, অতঃপর -চোখ দিয়ে দ্যাখতো,,, আমাদের দুর্ভাগ্য যে ব্যাক ব্রাশ করা চুলে, বৈয়াকরণিকরা সুখ – মুখের আকৃতি দিয়ে চুপ থেকে গেল। অথচ দেখুন কী সুন্দর দুঃখের ওপর চোখ দিয়ে, দুঃখকে প্রশস্ত বাগান দিয়েছে, তারা ভেবেছি পক্ষপাতিত্ব, তারা কি জানতো সাগরের -লোনা জলে মাখামাখি দুঃখের ময়নাচরে বাসস্থান হবে ; সঙ্গত কারণে […]
পথের পাঁচালি ২০২১
প্রাণের পাঁচালি নিয়ে ইন্দির ঠাকরুন বসে আছেন নিশ্চিন্দিপুর। ‘অপু তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাস কোন কুসুমপুর?’ দিনশেষে রোড নম্বর রাত্রির দিকে ঢুকে পড়লে দেখিস, সেখানে নোঙর করে আছে- কারও চোখের লবণ গুড়- মিষ্টি ফল আর দূর্গার কসম। স্মৃতিলাঞ্ছিত পৃথিবীতে স্মৃতি খুন করে কতদূর যেতে পারে দূর্গার ভাইয়েরা!
বার্তা ধরে হাতলন্ঠন
শুক্রবার কেটে নিয়ে মঙ্গলে তাপ্পা হইত্তাল যে মেনে নিল তাকে জাপটে তোমাকে তোমাকে তোমাকে গোলধাঁধা। কানামাছি। বায়োস্কোপ এবার উমু, রহস্য প্রদান। থুবড়ে বসে আছে গুটিগুটি রোশনাই স্যাঁতসেতে তাঁবু। আমার লোডশেডিং আরও নিয়ে আরও পাতলা শিস ছড়ায়। শীতচাপা ওই আদরকে পরিত্যক্ত ফ্যালা বা ফেলে উপেক্ষা যায় না ইশারাছানি ওই বারের রিসালা […]