ডাকি, আয় ঘুম আয় শিশুর মায়ের মতো সুর করে ডাকি গান করে ডাকি আয় ঘুম আয় চাঁদ নেই তবু চাঁদের মায়ার কাছে ঘুম ধার চেয়ে আনি আমি ঘুমাই আর ঘুমালে শিশুরা কোরাসের সঙ্গীত সুর করে পড়ে যেমন শিশুবেলায় মাথা দুলিয়ে আমপারা পড়ছি। জের-যবর-নকতা ভুলে গেলে মা স্পষ্টভাষায় আউড়ে দেয় মা বসে আছে শিয়রে এখনি বলবে […]
কবিতা
ফুটবল
ফুটবল লাথি খেলে উৎসব মেতে ওঠে মানুষ। একদিন সে পাল্টা আক্রমণেভেঙে ফেলে স্টেডিয়াম শুরু হয় মানুষের দৌড়…
পা যখন গোল
বিকেল বমি করছে এনেস্থিসিয়া রাত্রিপান শেষে বাড়ি ফেরার বদলে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে সূর্য! রিকশার মাতলামি জুড়ে রাস্তারা হন্যে গন্তব্যের খোঁজে গলিগুলোও বড় রাস্তায় মাথা গুঁজে হয়রান। এমনি রাত। চাঁদকে চম্পা ভেবে জড়িয়ে ধরা যায়। কথার আর্কাইভ খুলে গেছে দরজার ক্যাঁচক্যাঁচ ঝেড়ে কেশে বিরান শ্রোতারাও ঢুলুঢুলু। হল্লাপাড়ায় নেমেছে বৃহস্পতি আজ শনির নাচ হবে চরাচর জ্যোৎস্নায়।
কুকুর জীবন
প্রতিদিন রাতে ঘুমানাের আগে একবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। দেখে নিই মানুষ চেহারাটি। তারপর ঘুমােতে যাই সকালে। ঘুম থেকে উঠে পুনরায় আয়নার সামনে দাঁড়াই। আমার মানুষ চেহারাটি দেখে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। প্রতিদিন ভাবি একদিন সকালে উঠে আয়নায় দেখব আমি একটা কুকুরছানা হয়ে গেছি। হায়! বােবা ঈশ্বর আমাকে একটি কুকুর জীবন তুমি দিতে পারােনি। […]
তীর
তীরটি ছুটছিল, বাতাস চিরে তার লক্ষ্য সুনিদিষ্ট যাত্রার দু পাশে একে একে পার হলো কৃষ্ণগহবরে চোবানো বক্ষ তার লক্ষ্য সুনিদিষ্ট একটি প্রেমময় তীব্র লাল হৃদপিন্ড সুতিক্ষ্ণ ফলায় ছিন্নভিন্ন ভালোবাসা ছোপ ছোপ রক্ত। মুহূর্তে রক্তনদী ঠেলে উন্মত্ত জনতা ফাসির কাঠগড়ায় তীরটি চিৎকার করছিল আমি আগেই মৃত।
অতিথি
গতি মুছে দিয়ে ; এসে পৌঁছল ট্রেন সহযাত্রীরা কেউ তো আপন নয়। কোনও কলরব কোথাও থাকবেনা? জন্মানো মানে এতবড়ো পরাজয়? কথায় কথায় দূরে দিন ঢলে পড়ে কোথা থেকে এত কথা এসে যায় মনে? কলকাতা ফিরে দেখা হবে একদিন- আগে থেকে সব ঠিক করে নেব ফোনে। পৌঁছে গেলে তো আলাদা হতেই হবে কেউ আটকাতে পারবেনা জোর […]
করোনা
দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা স্তিমিত ক্রমশ এগিয়ে আসছে তৃতীয় ঢেউ। দরজার বাইরে দাঁত নখ লুকিয়ে ঘাপটি মেরে সোল্লাসে থাবা চাটে রক্ষরানি ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মেঘভাঙা বৃষ্টিতে যেন ভাসমান কিশতওয়ার অরণ্যে রোদন করে গোটা বধ্যভূমি শুধু লোকাল ট্রেনেই কোভিড, বিশেষজ্ঞ জানে! কে বানাল বধ্যভূমি এ সুবর্ণ প্রদেশ? প্রতিষেধক চুরি যায় কার কর্মফলে, মানবশরীরে ঢোকে অনর্থ ওষুধ? এ প্রশ্ন […]
রুপান্তর
চিঠি আসে না, আসে নাপ্রতিদিন কড়ানাড়ার শব্দের দিকে কান পেতেপ্রতীক্ষা দাঁড়িয়ে থাকে– বাতাসের দমকা এলেভেঁপুর শব্দের সাথে মিশে যায় আকাঙ্ক্ষার ফাগ, চিঠি আসবে… কিন্তু কোথা থেকে সে জানে নাতবু কান রাখে দরজায়, ডাকহরকরা যদি ডাকে। যুগের যে রূপ… শব্দ আর লেখে না হৃদয়,ক্ষুদ্র পঙক্তিতে বাড়ে মুঠোফোনের অন্তর্গত ভার;নিরব ভাঙনে রক্তে আলপনা এঁকেকেউ আর পাঠায় না […]
প ও ফ, তামাটে পরস্পর
(কবি পিয়াস মজিদ, বন্ধুবরেষু) সাদা-কালোয় ঘোরগ্রস্ত কবিতার চোখ কালের কলস ভেঙে জলের হাসিমুখ। তোমাকে ঈর্ষা করি, শিল্পের সামিয়ানা দেয়ালে পড়েছে ছায়া চলতি হাওয়ায়। সময় তার নৈবেদ্য নিয়ে স্মরণে রাখুক দুই বর্ণ ‘প ও ফ’, যেন তামাটে ভাবুক। ব-দ্বীপে কবিতাধারা, আমরা পরস্পর অভিমুখে কবিতাগ্রাম, মর্মছেঁড়া নদী। রক্তঢেউয়ে ভেসে থাকা বিজন সন্তরণ এই তো কবিতা, কবির অমোঘ […]
আওয়াজে
এত কথা হয়, আওয়াজে ভরে যায়— বাতাসেরা কাঁপে চারপাশের ছায়ায়— সহসা পাখিরা ভয় পেয়ে উড়ে যায়। কোলাহল শুধু বেপরোয়া আর গাঢ় কোনো অসীম মৃত্যুর দিকে খুব ঘন নীল কোনো আবরণ অথবা অরণ্য কিংবা পুরোটা শহরে মেজাজের মতো শরীর খেয়েছে সব গহিন তুষারে। তবুও গাছেরা শুধু চুপচাপ সুরভিত যেন সরে গেছে জনপদ থেকে দূরে সাদা কোনো […]