পাঠবৃত্তের মাঝে
অতীশ দীপঙ্কর ! দাঁড়িয়ে আছেন আচার্য শান্ত রক্ষিতের
সমাধির কাছে। শ্রীমুখের সেই প্রার্থনার জ্যোতি
সেই সুন্দরের কি বর্ণনা হয় ?
বুকের ভেতরে রাখা বিক্রমশীল বিহারকে নিয়ে
চলেছেন তিনি ওই সুদূর তিব্বতে—
অথবা ইলতুৎমিস এসেছিলেন স্থাপত্যের মিলনপর্বটির মাঝে
তখন হিন্দু মুসলমান বিভেদের কথা কখনও ওঠেনি—
আঞ্চলিক শৈলী ছিল গৌড় বা পান্ডুয়া
জৌনপুর, বিজাপু্র, গুজরাট, মালব ও গোলকুন্ডায়…
দূরের অদূরে ভাসছি—
পাঠবৃত্তে যা কিছু বিদ্যুৎ সঞ্চয় ! সেই সব নিয়ে
হঠাৎ-ই এমন সময় শুনি, লাদাখে, অরুণাচলে ভারত সাগরে
ভয়ংকর সেনা উত্তেজনা ! তারপর তো আফগানিস্থানে নিষ্ঠুরতার
সীমা ভেঙে গেছে ! …
অনির্দেশ্য
বাহ্যসম্পদের দিকে মেলে দেওয়া পিঠ
গহন সংলাপ বাতাসের কানে দিয়েছি ছড়িয়ে
দেখেছি কেমন ফুটে ফুটে ওঠে দূরের তারকা !
আখরে আখরে জ্বলা নেভা আঁকি, আঁকি নৃত্য ভঙ্গী
কারুবাসনার জ্বলা পোড়া বিষে নীল হ’তে হ’তে
শব্দপ্রতীকের ভেতর থেকে ফুটিয়ে তুলি বিভা—
প্রশ্ন ও কান্নার চাতালে শ্যাওলা জমে সময়ের
কোনদিকে যাব যে পিছলে, সেকথা বলা যায় না !