মোহিত কামাল

কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় মোহিত কামালের জন্ম ১৯৬০ সালের ০২ জানুয়ারি সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম জেলায়। তাঁর বাবার নাম আসাদুল হক এবং মায়ের নাম মাসুদা খাতুন। শৈশব—কৈশোর কেটেছে আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও খালিশপুর, খুলনায়। বর্তমান নিবাস ধানমন্ডি, ঢাকা। স্ত্রী মাহফুজা আখতার মিলি, সন্তান মাহবুব ময়ূখ রিশাদ ও জিদনি ময়ূখ স্বচ্ছ। চার ভাই এক বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান। অ্যাফিডেভিট করা লেখক নাম : মোহিত কামাল। সম্পাদক, শব্দঘর (সাহিত্য—সংস্কৃতির মাসিক পত্রিকা); বাংলা একাডেমি ফেলো ও জীবন সদস্য। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন; প্রথম আলোর মাদকবিরোধী আন্দোলনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য; ‘প্রবাল কচি—কাঁচার মেলা’র সাবেক পরিচালক। লেখালেখির মুখ্য বিষয় : উপন্যাস ও গল্প; শিশুসাহিত্য রচনার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাধর্মী রচনা। পাঠ্যসূচিতে উড়াল বালক : লেখকের এ কিশোর উপন্যাসটি স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড সেভেনে ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র—এর পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ঝঊছঅঊচ) কর্তৃকও নির্বাচিত হয়েছে। সাহিত্য চর্চা : কেন্দ্রীয় কচি—কাঁচার মেলার পরিচালক রোকনুজ্জামান দাদাভাই আদর্শ ব্যক্তিত্ব। আগ্রাবাদ নবাঙ্কুর কচি—কাঁচার মেলার সাহিত্য—সংস্কৃতির কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাহিত্যে বুনিয়াদ, সাহিত্যসত্তা গড়ে ওঠে শৈশবেই। মোহিত কামালের লেখালেখির শুরু তখন থেকেই। তবে প্রথম গল্পগ্রন্থ কাছের তুমি দূরের তুমি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে সময় প্রকাশন থেকে। এর পর থেকে তিনি লিখেই চলেছেন, সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের পাশাপাশি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছেন সাহিত্যজগতে। জীবনের প্রতিদিনের সময়ঘণ্টাকে ভাগ করে কর্মজীবন ও সাহিত্য ​১ জীবনকে তিনি আলাদা করতে পেরেছেন। তাই উভয় ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করে চলেছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কথাসাহিত্য ৩৫ (উপন্যাস ২৩ গল্পগ্রন্থ ১২)। এ ছাড়া কিশোর উপন্যাস ও অন্যান্য গ্রন্থ মিলে বইয়ের সংখ্যা ৫৩। বিদ্যাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত তাঁর হঁ্যা (২০২০) উপন্যাসটি পেয়েছে সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার ২০২০। পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর (২০১৪) উপন্যাসটি পেয়েছে সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার (২০১৪)। কিশোর উপন্যাস উড়াল বালক (রোদেলা প্রকাশনী, ২০১২) গ্রন্থটি ২০১২ সালে পেয়েছে এম নুরুল কাদের ফাউন্ডেশন শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২০১২) এবং অগ্রণী ব্যাংক—শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৪১৮ বঙ্গাব্দ (২০১২)। সুখপাখি আগুনডানা (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০০৮) উপন্যাসটি পেয়েছে এ—ওয়ান টেলিমিডিয়া স্বাধীনতা অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ এবং বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক ২০০৮, সাপ্তাহিক দি নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস—প্রদত্ত। না (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০০৯) উপন্যাসটি পেয়েছে স্বাধীনতা সংসদ নববর্ষ পুরস্কার ১৪১৫। চেনা বন্ধু অচেনা পথ (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১০) উপন্যাসটি পেয়েছে ময়মনসিংহ সংস্কৃতি পুরস্কার ১৪১৬। জাতীয় পুরস্কার : কথাসাহিত্য কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি লরিয়েট (২০১৮), অগ্রণী ব্যাংক—শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৪১৮ বঙ্গাব্দ (২০১২)। পেশা : মনোচিকিৎসক। মনোশিক্ষাবিদ। অধ্যাপক। সাবেক হেড অব সাইকোথেরাপি, সাবেক একাডেমিক কোর্স ডিরেক্টর (এমডি রেসিডেনসি―সাইকিয়াট্রি), সাবেক পরিচালক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। পেশায় বিশেষ কৃতিত্ব : ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত জাপানে ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন। লেখকের মানব মনের উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা বইটি ২০১২ সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাইকোলজি, কাউন্সেলিং অ্যান্ড গাইডিং’ বিষয়ক পাঠ্যসূচির অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। বর্তমান উপদেষ্টা সদস্য : জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি ২০১৯। : জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি—কোভিড ১৯।

Avatar photo

নীলকণ্ঠ পাখির স্বর

নীলকণ্ঠ পাখির স্বর

চৈতালির মুখের দিকে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গে জলপ্রপাতের মতো বিস্ময় ঝরে পড়ল চোখথেকে। দুদিন পূর্বেও মেয়েটি ছিল নির্ভারনিঃসংকোচে কথা বলেছে। আজ এমন শক্তপোক্ত লাগছে কেন ওর চোখের ভাষা! কিছুটাদ্বিধাগ্রস্ত, কিছুটা শঙ্কিত হয়ে গানের শিক্ষক সুমন চৌধুরী জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি মনখারাপ, চৈতালি?প্রশ্নের জবাব না—দিয়ে সুমন চৌধুরীর দিকে তাকাল মেয়েটি। ওর মুখের ত্বকের ভেতরথেকে কিশোরী—মুখের আলোর মতো […]

Scroll to Top