মুহম্মদ নূরুল হুদা

মুহম্মদ নূরুল হুদা ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোহাম্মদ সেকান্দর ও মাতা আঞ্জুমান আরা বেগম। মূলত কবি তিনি। তবে কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ ও অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি বিচরণশীল। অতিপ্রজ ও সব্যসাচী এই লেখকের স্বরচিত, অনূদিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রাপ্ত পুরস্কারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), যশোর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আবুল হাসান কবিতা পুরস্কার (১৯৮৩), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), কক্সবাজার পদক (১৯৮৯), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৪), আহসান হাবীব কবিতা পুরস্কার (১৯৯৫), যুক্তরাষ্ট্রের আই.এস.সি ঘোষিত পয়েট অব ইন্টারন্যাশনাল মেরিট ও পয়েট অব দ্য ইয়ার (১৯৯৫), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্তৃক প্রদত্ত নজরুল জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), জীবনানন্দ জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), সুকান্ত পুরস্কার (২০০৪), একুশ-উনিশে ভাষা গৌরব শীর্ষক ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সম্মাননা (২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১২) ইত্যাদি। ১৯৯৭ সালে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি সুলেমান ডেমিরিল কর্তৃক বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর বাংলা একাডেমিতে চাকরি বদল। এখানেই বিকশিত তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সময়। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের লেখকদের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সভাপতি। তিনি আন্তর্জাতিক লেখক দিবসের প্রবক্তা। সাহিত্য-সাধনার পাশাপাশি সাহিত্য-সংগঠক হিসেবেও তিনি সর্বমহলে সমাদৃত।

Avatar photo

তুমিই শিশু তুমিই পিতা

সতেরো মার্চ উনিশ-শ বিশ জন্ম নিলো টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালিদের জাতিপিতা; মা-জননী দুহাত বাড়ায়; পিতার মুখে ফুটলো হাসি, ফুটলো কুসুম রাশি রাশি, পাখির ডানায় বাঁশের পাতায় সুরে সুরে বাজে বাঁশি; দোয়েলশ্যামা লাফিয়ে চলে, ইলিশেরা সাঁতার কাটে, বাঙালি আজ পাখপাখালি, জারি সারি হাটে মাঠে; প্রমত্ত আজ গঙ্গা-পদ্মা, কর্ণফুলী ধায় যমুনায়, মধুমতি ব্রহ্মপুত্র সব নদী যায় এক মোহনায়; অষ্টপ্রহর […]

বীজে বীজে বীজসৃষ্টি

বীজে বীজে বীজসৃষ্টি

আমারো তোমারো কোনো আদিঅন্ত নেইতোমারো আমারো কোনো আদিঅন্ত নেইএই পত্র এই পুষ্প জনে জনে জন্ম নেয়শুধু তোমাতেইশুধু আমাতেইবীজে বীজে বীজসৃষ্টি শুধু দৃষ্টিতেই। আমাকে না দেখে যদি তোমাকে পেলামতোমার ডাকে কি তবে আমিও এলাম?বন্দরে অন্দরে যদি অন্তর হলাম,ভেতরে বাইরে তবে কাকে যে পেলাম!আমাদের পাত্রে কোনো হেমলক নেই;বীজে বীজে বীজসৃষ্টি শুধু দৃষ্টিতেই। ফেরার সময় হলে ফিরে যাবে […]

উদিত হৃদয়

উদিত হৃদয়

দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি আমার সময়, দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি তোমার সময়; অহনা গহনে টানে, তুমি টানো অধিক ভেতর, ভেতরে-বাইরে আছি, মুখোমুখি দুই চরাচর। ভালোবেসে কবে তুমি এতোটুকু পেয়েছিলে সুখ তোমার কি মনে পড়ে? আমার তো কিছুই পড়ে না; অনঙ্গকালের বুকে অপলক তাকিয়ে উন্মুখ পড়েছো হৃদয় যার সে হৃদয় তোমাকে পড়ে না! কবিতা […]

Scroll to Top