তাপস রায়

তাপস রায়। জন্ম ২১ জানুয়ারি, ১৯৮০; সিরাজগঞ্জ জেলার দেলুয়া গ্রামে। বাবা প্রভাতচন্দ্র রায়, মা তাপসী রায়ের বড় সন্তান। তাপস রায় উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াকালীন ২০০১ সালে জাতীয় দৈনিক ‘আজকের কাগজ’—এ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন বেক্সিমকো ফার্মা, এবং পরে ব্র্যাক ব্যাংক—এ দায়িত্ব পালন করেছেন। এক পর্যায়ে লেখালেখির কথা বিবেচনা করে পুনরায় সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম—এর ফিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাহিত্য সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন। তাপস রায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে রম্য ম্যাগাজিন, শিশুসাহিত্য, শিক্ষা, ভ্রমণ এবং পেশাবিষয়ক ক্রোড়পত্র সম্পাদনা করেছেন। দৈনিকগুলোতে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক রম্যরচনা, ছড়া, কিশোর গল্প এবং নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও রয়েছে সমান পদচারণা। টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখেছেন। এ ছাড়াও টেলিভিশনের জন্য কেরিয়ার, ফ্যাশন, ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও গ্রন্থনা করেছেন। তাপস রায়ের প্রথম প্রকাশিত রচনা রম্যগল্প। এরপর থেকেই রম্য—রচনার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে লিখে চলেছেন এই লেখক। রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুলের রসবোধ নিয়ে লেখা তাঁর ‘রসিক রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘রসিক নজরুল’ খুবই সরস রচনা। আমাদের সাহিত্য ক্ষেত্রে রম্যরচনা বা রস—রচনার লেখক বেশ কম। অতীতে এই শাখা যতটা সমৃদ্ধ ছিল আজকাল ততটা নেই। অল্প কজন লেখকই এই শাখায় তাঁদের অবদান রেখে চলেছেন। তাপস রায় তাঁদেরই অন্যতম। বর্তমান জীবনের নানা অসঙ্গতী লেখক বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবলোকন করেছেন এবং সেগুলোই তিনি প্রকাশ করেছেন অনবদ্য শিল্পিত ভাষায়। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারি। রসবোধ অসামান্য এবং তা প্রকাশের ভাষাও তীক্ষ্ম এবং সরস। বস্তুত তার ব্যবহৃত ভাষা এবং বক্তব্য উপস্থাপন কৌশলই তাঁর রচনাকে সরস করেছে। পুরস্কার: কথাসাহিত্যে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৭ রাইজিংবিডি সেরা লেখক পুরস্কার ২০২০

Avatar photo

হাস্যরসিক বঙ্গবন্ধু

রাজনীতিতে আলাপচারিতা নিত্যকর্ম। এই কর্মের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে আলাপচারীকতটা বাচস্পতি তার উপর। আর এখানেই বঙ্গবন্ধু অনন্য, অতুল্য। যুক্তি উপস্থাপনেতিনি এতটাই পারঙ্গম ছিলেন যে প্রতিপক্ষ অনেক সময় হতোদ্যম হয়ে পড়তেন। কিন্তুসেখানে হঠকারী মনোভাব প্রকাশ পেত না। উচ্চরুচিসম্পন্ন দীপ্তি ও দ্রুতি গুণে মার্জিত,দীপ্র আলাপচারী বঙ্গবন্ধুর কথাই এ মুহূর্তে মনে পড়ছে। এবং এরই ফাঁকে যে গুণহীরক দ্যুতির […]

Scroll to Top