জাহিদ সোহাগ স্তন। সম্ভবত সারাদিন ছিলো অপ্রতিভ। বা, নৈশ শিসে জেগে জেগে ওঠা তরুণীর।কত কাঁটা জন্মায় হাতে, আর এখন তুমি শান্ত নও, শান্তি নও, ঠোঁটও চাইছে মাছের নিবিড় বন। এরও নিচে আছে হন্তারক, প্রেম, ফেনা, ও পিনবলের মতো মুহূর্তের স্থবিরতা। আমরা তো যাবোই, খসেও যাচ্ছে শরীরের খড় ও মাটি, জলের স্রোতে দুজন হতে চিহ্নহীন।
কবিতা
দ্বৈত
খুব চেনা আস্বাদন— মেঝে আর ছাদ এভাবে ভাবাতে চাই, বিপরীত স্বাদ— অন্তর মন্থনে চাই বিষ ও অমৃত নিজেকে বোঝাতে থাকি— হও পরীক্ষিত আলোকেই বাসি ভালো আলোর অধিক বর্ণহীন, ঘিরে আছে সকল আঙ্গীক যে আমায় ঘিরে রাখে অলক্ষ্যে আমার সে আমার কেউ নয় ! আমি কি চামার ? কী নিখুঁত বিষ্ঠা ফেলে উড়ে যায় কাক রাগে, ক্ষোভে […]
ডিপঘুম থেকে জেগে উঠে
রোমান্টিসিজমের এনেসথেশিয়া নিয়ে তুমি এখোনওডিপঘুমে। ধীরে ধীরে একদিন চোখ খুলে যাবে-দেখবে তখোন, তোমার চারপাশটা খালি, শূন্য হয়েআছে। আর তুমি একটা অন্ধকার ঘরে মৃত মাকড়সারমতো শূন্যে ঝুলে আছো, একা। বাইরে তলিয়েআছে বিশাল পৃথিবী। তোমার পাশে কেউ নেই আর !এমনকি পিঠের জন্মদাগে, উষ্ণ ঠোঁটে, স্তনের বোঁটায়,নাভিমুলে, যোনি ও জঙ্ঘায় অবাধ বিচরনের অধিকারএকদিন যাকে তুমি দিয়েছিলে – সেও […]
সকালে ভৈরবী রাগ, সন্ধ্যায় ইমন
সকালে ভৈরবী রাগ, সন্ধ্যায় ইমনআমার অসুখ শুনে কাঁপে নাই মন?রাগ সংগীতে ভরা তোমার হৃদয়তাই বলে জ্বর শুনে রাগই শুধু হয়? নরম খাবার খাবো আর দুধ জুসএসব কোথায় পাবো, আছে সেই হুঁশ?খেয়েদেয়ে যেন আমি নিই বিশ্রামবুজে থেকে যেন দিই চোখকে আরাম। চোখ বন্ধ করি যদি বিশ্ব আসে চোখেঅন্ধকার ভরে যায় তোমার আলোকেসেইখানে তুমি চাঁদ, তুমি সব […]
শূন্যস্থান পূর্ণ
. না এলো ব্যাচেলর ঘরে, স্থির বিছানায় ছড়িয়ে দিল শরীর— চোখ বন্ধ, চুপচাপ কামিনীর তীব্র ঘ্রাণে মাতোয়ারা বেড়াল জানতে চাইল— অলিভ অয়েল আছে? ব্যাকুল তাকিয়ে আছি বৃষ্টির পদ্মফুলে; পাপড়ি নেড়ে… ‘পদ্ম এতো স্নিগ্ধ হয়!’ না যদিও এলো, আকাশ বিলা হয়ে ছিল শ্রাবণ আকাশ— এমন তো হওয়ারই কথা না ঝরল, আমি ঝরলাম… মুষল বর্ষণে পরস্পরের কাছাকাছি, […]
প্রজ্ঞা
তোমাকে বর্ণনা করি সাবেক ভাষার আলো প্রেক্ষাপটে রেখে। বিমূর্ত প্রজ্ঞার এই সিল্যুয়েটে তোমার করুণা আরও ব্যাপ্ত মনে হয়; তোমার ছলনা, তাও। যত মৃত্যু লিখে রাখ অঙ্গনে-প্রাঙ্গনে, দিয়ে রাখ যত স্মৃতিচারণার ভার, ততদূর বিস্মরণ ধার্য করে রাখনি কখনও। বিস্মরণ নেই, তাই স্মৃতি নেই─ শুধু এই সঙ্গে থাকা আছে; শোক আছে, সন্তপ্ততা আছে, আর আছে অসীমের অনন্ত […]
উদিত হৃদয়
দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি আমার সময়, দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি তোমার সময়; অহনা গহনে টানে, তুমি টানো অধিক ভেতর, ভেতরে-বাইরে আছি, মুখোমুখি দুই চরাচর। ভালোবেসে কবে তুমি এতোটুকু পেয়েছিলে সুখ তোমার কি মনে পড়ে? আমার তো কিছুই পড়ে না; অনঙ্গকালের বুকে অপলক তাকিয়ে উন্মুখ পড়েছো হৃদয় যার সে হৃদয় তোমাকে পড়ে না! কবিতা […]
দর্শক
দরজার দিকে যেতে যেতে হাতে উঠে আসছে খােলা বারান্দা শূন্যতা পেরুতে গিয়ে উঠোন ঢুকে পড়েছে ঘরে তুমি বলছাে অধ্যাস- আমি গান ধরেছি আন্দামানের বন্দির গলায় পৃথিবীটা বাতাসের অমিতাচারে চুপসে যাচ্ছে তুমি কড়িকাঠে যা দেখছ, সেখানে একটা সমুদ্র ঝুলে আছে তুমি বলছাে অধ্যাস- আমি বলছি তিনভাগ জলের পৃথিবী হাত সাফাইয়ের আগে তােমার আস্তিন আমাকে দেখাও কবুতর […]
জাগৃতি
জীবন যখন নিরর্থকের বলি, আমরা তখন একলাই পথ চলি। বাঘ নেই বনে একলা ডাকছে ফেউ, তৃষ্ণা যখন পুড়ে যায় বরফেও। শ্রুতির নিকট অগম্য সব ধ্বনি, মেডুসা বাজায় পাথরের সিম্ফনি। বেঁচে আছি কিনা জানতেও লাগে ভয়, কান্নার চেয়ে নিরবতা বিস্ময়। চোখগুলো সব বন্ধ জানালা আর সূর্যের আলো ঘোচে না অন্ধকার। উনুনের ধোঁয়া কুয়াশায় অবনত, সব শাসকেরা […]
পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
একদিন চাঁদ উঠবে না, সকাল দুপুরগুলো মৃতচিহ্নে স্থির হয়ে রবে; একদিন অন্ধকার সারা বেলা প্রিয় বন্ধু হবে, একদিন সারাদিন সূর্য উঠবে না। একদিন চুল কাটতে যাব না সেলুনে একদিন নিদ্রাহীন চোখে পড়বে ধুলো। একদিন কালো চুলগুলো খ’সে যাবে, কিছুতেই গন্ধরাজ ফুল ফুটবে না। একদিন জনসংখ্যা কম হবে এ শহরে, ট্রেনের টিকিট কেটে একটি মানুষ কাশবনে […]