কবিতা

মিছিল

পোস্টারগুলো লাগিয়ে দেয়া হয়েছে দেয়ালে দেয়ালেপ্ল্যাকার্ড ফেস্টুন মিছিলকারীদের হাতেব্যানার মিছিলের সামনে লেখা- “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাইআমাদের দাবী মানতে হবেমানতে হবে” মিছিল শুরু হল ইউনিভার্সিটির গেট থেকেফুটপাত মুদিদোকান কাঁচাবাজার পেরিয়েমিছিল চলছে সমুদ্র গভীর জনতা নিয়েদুর্বার গতিতে। ছাত্র-ছাত্রী এসেছে ক্যাম্পাস ফেলেবৃদ্ধ এগিয়ে যাচ্ছে তর্জনী উঁচিয়েমাজায় লাল গামছা বেঁধেকৃষিকাজ ফেলে এসেছে কৃষক। জনসমুদ্রের মিছিল ক্ষিপ্ত গতিতে অতিক্রম করেমেডিকেল কার্জন […]

সন্ধ্যামায়াজাল

স্মৃতির ওপার থেকে কে যে এলো!পায়ে বাজে রিনিঝিনি মলসুন্দর এসেছে বুুঝি!ভাসলো কি রূপশতদল?আলো-ছায়া-রোদ-বৃষ্টিহাওয়ার নাচনউড়ে যায় স্মৃতিহংসহৃদি-সংবেদন!মুহূর্তে মুহূর্ত বাজেমহাকাল পায়েচলা পথ…নদীও ভাঙে তীরকালের তঞ্চক!আমি যদি দিই ডুবপদ্মফোটা জলেতুমি তো জ্বলবে জানিঅদেখা অনলে!প্রাণের কথারা যদিঘরে ঘরে মরে!কে বাঁচায় প্রত্নপ্রেমগ্রামে ও শহরে?ফুলে ও ফসলে আজসন্ধ্যামায়াজালভাসুক চাঁদের রেখাতোমার সকাল!বিন্দু আমি এঁকে যাইবৃত্তের পরিধিতুমিই অনন্ত বোধতুমিই তো আদি!

ছায়ার প্রতিবিম্ব

শীতের তুলো মাখা রোদের শরীরে গা এলিয়ে দাঁড়ায় সে প্রতিদিনকংক্রিটের বিছানায় মৃতবৎ পড়ে থাকে কোমল ছায়া তার,সূর্যপতীর সঙ্গে চলে কথোপকথন- যাপনের খুনসুটির খামই খোলা হয়সবসময়।জীবনের সুতো তার অন্য অনেকের মতো নাটাইবিহীন;ঘুড়িও ছিল না কোনো স্বপ্নের মায়াময় নির্দয় চোখে।কত কিছু ঘটাতে গিয়েও কিছুই ঘটেনি শেষেএকরকম খেদ নিয়ে ক্রমাগত সরে যায় নিজের প্রতিবিম্ব। একদিন অন্যরকম দিন আসে […]

আত্মসমর্পণ

ষাটবসন্ত উড়াল, অন্ধঘাটে রাতের মিলননাভির অন্দরে মেঘ! মূর্খের সাম্পানে পাল তোলেদূষিত ফানুস উড়ে, তারাগুলো লজ্জায় মুখোশসমান্য শুঁটকি ঘ্রাণে মনুষ্যত্ব আত্মসমর্পণ। কারডেরায় প্রার্থনা ! অনাচারে অতিষ্ঠ আকাশশব্দতলায় শূন্যতা, রুচিহীন সখের স্বরূপঅন্ধচোখে আয়োজন, কাঠলিপি হাসির খোরাকনিজেকে জানো সুন্দর! করতলে শিল্পের শহীদ। বয়স সীমানা পাড়ে, মৃত্যুর সমন জারি ঘরেপ্রকৃতির মনমরা ঝাউভীড়ে ঝড়ের করাতসমুদ্র স্নানে শরীর, জপমালা মিথ্যার চুম্বনকরোনা […]

গরু বিষয়ক গুরুগম্ভীর…

মা রু ফু ল আ ল ম অনন্তর,মহান ঈশ্বরের নামে ‘গরু’ বিষয়ক আজিকারগুরুগম্ভীর আলোচনা শুরু করিতেছি।দেবতা গোত্রীয়নিরীহ এই প্রাণীটি হয় গৃহপালিত এবং শান্ত স্বভাবের।কথিত আছে চাষাবাদে এই প্রাণীটির জুড়ি মেলা ভার!যদিও একজন রসিক অর্থনীতিবিদের মতে চাষাবাদেতখনো পর্যন্ত ৩টি গরুর ব্যবহারই ছিল বহুল প্রচলিত।এটি অবিশ্বাসের কোন কারণই নেই এইজন্য যে,এখনোতো গরুগণ গাহিতেছে গান অবিরাম!আবার জনশ্রুতিএই,অথর্ব গরুগণের […]

শ্বেতকাফন

আমি এখন তাহলে সেদিকেই যাবো, যেদিকে তোমার পদশব্দ নেই, নেই বোতলকুড়ানো বালিকার অনুসরণ আর রাত -নিশীথের প্রহরীর হুইসেলের ক্লান্ত কান্না। প্রিয়াহারানো নগরময় চষে বেড়ানো রিকাশাচালকের একই সুরের বাঁশি শুনবো না আমি আর , শুনবো না কাঁপানো মিসড কলের  গোপন আহবান। আমাকে এবার যেতে দাও অশ্বত্থের বিশাল খোড়লে, যেখানে দাঁড়াশ সাপের সাথে কুণ্ডলি পাকিয়ে কাটিয়ে দেবো […]

মগ্নগিরি, ঝিরিপথ

এই যে মগ্নগিরি, এই যে ঝিরিপথ এই যে অতৃপ্তি, এই যে আয়ুরথ তুষারাবৃত মন নিয়ে রয়েছ নিশ্চল লুকিয়ে রেখেছ মোহের মোহর। প্রতিদিন এখানে শতচোখ জুড়ে আবেগপরায়ণ পাখির বিলাপ হে হিমালয়, তুমি শুনতে পাও? অনিকেত মন, অন্তরোৎসার। এখানে নারীমন খুঁজে ফেরে ঘর এখানে পুরুষ যেন নিঃস্ব যাযাবর এখানে শিশু যেন আবেগের চাঁদ এখানে বৃদ্ধ যেন অন্ধকার […]

কালো স্লেটে লেখা বর্ণমালা

মাঝেমাঝে নস্টালজিক হাওয়া উড়ে এলেফিরে যাই হাতেখড়ির দিনেআর শৈশবের ঝুলবারান্দায় মেতে উঠি খেলায়। যেমন সেবারব-এর সাথে ক-এর বিয়ে দিয়েবক বানিয়ে উড়িয়ে দিলাম আকাশে… আর সমাগত অতিথিদের নিয়ে গেলামসবুজ বন, খয়েরি পাহাড়, সফেদ উপত্যকায়এবংজ ও ল-এর মধ্যে বন্ধুত্ব পাতিয়েভরে দিলাম নদী। আর ফিরে আসার পথেকিছু উপাখ্যান শোনালাম তাদের-কীভাবে,কালো স্লেটে লেখা বর্ণমালাগুলোএক আকাশ নক্ষত্র হয়ে গেল… চাণক্য […]

প্রনয় কাব্য(৬)

উৎসর্গ: বন্ধু ফেরদৌসি রেজা হৃদয় ছিল তোমার কাছেপুরোপুরিয় বাধাআমি আয়ান,কৃষ্ণ নইতুমিই আমার রাধা। সেইতো কবে কাহ্নপালিখলো আমার ব্যাথাহাজার বছর গেল চলেসত্যি কথা কে বা বলেআমায় দিয়ে অপবাদতুমি হলে সাদা,আমি আয়ান, কৃষ্ণ নইতুমি আমার রাধা। কৃষ্ণতো ‘দেব’ ছিলহয় কি কারো একাতবে কেন এমনতরোবুকফাটিয়ে কাঁদা !কে গো আছো কবিগননতুন করে লেখআমার রাধা আমারইএ কথাটা বলো আমার হৃদয় […]

দ্বিধাদ্বন্দ্ব

কেউ বলে বৈদেশিয়াকেউ বলে সিলট্যা মানুষকেউ বলে শব্দের ফকির, হারিয়েছে হুঁশ। ইরম কহিছে শেষে করিয়া ভাবনাআমি তো নিজেরে নিজে পড়িতে পারি না।

Scroll to Top