এই কবিতার নাম হতে পারতো বাজপাখি
এখন শিমুলের ফল ফেটে এই বৃদ্ধ বাতাসে তুলা উড়বার দিন নয়
তাই আমি কোনো এক অন্ধ বালিকার পিছু পিছু সূর্যস্নানে যাচ্ছি–
যে বালিকাকে আমি প্রথম দেখেছি ৪৭ সালের উদ্ধাস্তুদের মিছিলে
তখন তার বয়স মিনিমাম ৭১ হবে–আর আমার ১৭
এখন আমার ৭১ আর তার ১৭ ছুঁই ছুঁই।
আনমনে আমি তার হাত স্পর্শ করার চেষ্টা করি
হঠাৎ সে বলে উঠল–
আমাকে ছোঁবে না তুমি–আমি যে রজঃস্বলা কুমারী নদী।
আমার শরীরে প্রজাপতির কাঁচা রঙÑতোমার হাতে লেগে যাবে
তবুও তার হাত ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করি আরেকবার
আবার সে বলে উঠল–আমাকে ছোঁবে না তুমি
কেননা তুমি যে অশ্বমেধের ঘোড়ার মাংস খেয়েছ চুরি করে।
লখিন্দরের লোহার বাসরঘরের ফুটা ভেদ করা তুমি সেই কালসাপ
তুমি সেই মানুষের মাংসের দোকানের ধর্মীয় কসাই
যে দোকান থেকে মানুষ তাদের মাংস নয়–প্রজাপতি হয়ে ফুল কেনে বারবার।
আমি বলিÑসে যে আমি নই
সে আমারই পিতা ভিনদেশী জোঁক
বটের ছায়ায় দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলা যায় নাÑতাই বটের ছায়ায় দাঁড়িয়ে বলছি–
আমি সেইÑযার শরীরের চামড়ায় চাবুকের আঘাতে লেখা হয় পৃথিবীর ইতিহাস
কিম্বা তোমরা আমায় ক্রুশবিদ্ধ করে যতই যবুথবু করে বাঁধো না কেন
আমি বাংলার জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পেলে দাঁড়াবই দাঁড়াব
আমি সেই যযাতি।