তুমিই শিশু তুমিই পিতা
সতেরো মার্চ উনিশ-শ বিশ জন্ম নিলো টুঙ্গিপাড়ায়
বাঙালিদের জাতিপিতা; মা-জননী দুহাত বাড়ায়;
পিতার মুখে ফুটলো হাসি, ফুটলো কুসুম রাশি রাশি,
পাখির ডানায় বাঁশের পাতায় সুরে সুরে বাজে বাঁশি;
দোয়েলশ্যামা লাফিয়ে চলে, ইলিশেরা সাঁতার কাটে,
বাঙালি আজ পাখপাখালি, জারি সারি হাটে মাঠে;
প্রমত্ত আজ গঙ্গা-পদ্মা, কর্ণফুলী ধায় যমুনায়,
মধুমতি ব্রহ্মপুত্র সব নদী যায় এক মোহনায়;
অষ্টপ্রহর আসছে যাচ্ছে বংপ্রজাতির শ্রমিক প্রেমিক,
বাংলা জুড়ে নতুন অরুণ, সেই অরুণে কিরণ অধিক;
বদর বদর হাঁকছে মাঝি, নদীরা সব বৈঠাও বায়;
হালের নৌকা পালের নৌকা নৌকারা সব এক ঠিকানায়।
আকাশজোড়া রোদের খেলা, হঠাৎ বৃষ্টি এক পশলা,
কৃষকরা সব ছুটছে মাঠে, হাতে তাদের লাঙ্গল-ফলা্;
জলে-স্থলে গগনতলে নীলসবুজের গিরিচূড়ায়
বঙ্গশিশুর বঙ্গপিতা দুচোখ মেলে অবাক তাকায়।
তুমিই শিশু তুমিই পিতা বঙ্গশিশুর বঙ্গপিতা
অনন্তকাল বঙ্গভূমি অনন্তকাল তুমিই পিতা;
মুক্তিপাগল বাঙালিরা পিতার বুকে মুখটি লুকায় –
মুখটি তোমার আঁকা আছে লালসবুজের সুখ-পতাকায়।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা টুঙ্গিপাড়া যাই
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা মুজিববাড়ি যাই
সব বাঙালির একটি বাড়ি অন্য বাড়ি নাই।
০৬-০৭.০৩.২০১৯