যাত্রি ছাউনির নিচে আটকা পড়েছি, তারপরও তীব্র বৃষ্টিজলে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে রাজহাঁসের মতো চলে যাচ্ছে আর সেই ছাতায়ালি ট্রাফিক পুলিশ ছাতা ধরেও যে প্রায় সম্পূর্ণ ভিজে যাচ্ছে পাশে দাঁড়িয়ে তার হয়ে ছাতা ধরবার ইচ্ছে হলেও ট্রাফিক ইশারা এক পথকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে সুন্দরি ট্রাফিক তীব্রবৃষ্টি ও হাওয়াকে কিছুতেই অন্যদিকে […]
কবিতা
ধূলিবিদ্যা,প্রখর দুপুরে
আমি তো পথিক নই — তদুপরি,হায় ধূলিবিদ্যা ভালোবাসি ঢের! ঘনঘোর অন্ধকারে ডানা মেলে দূরে উড়ে যাই যেখানে আলোর গতি আঁধার-পাঁজর ভেদ ক’রে ছুটে যায় — দূর,বহুদূরে… চক্রাকারে সভ্যতার চাকা ঘুরিতেছে। তাহার পেছনে ওড়ে মেঘ — সময়ের সমুজ্জ্বল ঘোড়া কত কাল চরিতেছে? তদুপরি,ধূলিবিদ্যা ভালোবাসি ঢের ডানা মেলে উড়ে যাই, প্রখর দুপুরে…
রায়বাঘিনীর ডেরা
১. মন মরে যাবার পর নতুন অবয়ব পেল শরীর রাতের বেলা পেশির অদ্ভুত আক্ষেপ জাগল মন নাই তাই মনের আক্ষেপও নাই; শরীরের সঙ্গী কেবল শরীর শরীর এখন রাগ-অনুরাগ, হর্ষ-বিকার, সাধ, স্মৃতি ও আলাপশূন্য; নিরাহ্লাদ, নির্বিষাদ শরীরকে ঘিরে রয়েছে এক নিরালাপ গজল পঞ্চভূতের ক্রমাগত পীড়নেও খরখরে এক কোবল্ড স্ট্রিটের উপর দিয়ে ঘর্ঘর গড়িয়ে চলেছে শরীরের আশ্চর্য […]
জনক
এই পরবাসে যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে নাম আমি জনকের নাম উচ্চারণ করি আহা নিজদেশ নিজনাম পিতা হতে পাওয়া! স্বার্থক জনম আমার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আমার মাঝেই থাকে।
পরাবাস্তব
সূূর্যোদয় দেখতে গিয়েছিল মেয়েটি। ছেলেটি গিয়েছিল সূর্যাস্তে একটানা মেঘ এক ফোঁটা বৃষ্টি দু চার’বার দমকা হাওয়া…. তাদের আর খুঁজে ই পাওয়া গেলো না। কোথায় যে হারালো? কত খোঁজাখুঁজি কতো সার্চ কেউ এসে ফেললো তীব্র আলো মিললো না। ভেসে গেলো ঢেউ এখনো ঢেউ কাঁদে অবিরাম হয়তো নদীর জলে অথবা আকাশে হয়তো পাথরের গায়ে লেখা আছে প্রেমময় […]
দীর্ঘশ্বাস ফেলে আতঁকে উঠবে বালুকণা
কালোজিরা গন্ধে ভুলে যাবে উরুসন্ধি প্রিয়মুখ মেয়েলি মুখের আলো- উজ্জ্বলতা হলে অগ্নিশিখা… প্রার্থনার আলোগুলো সর্বত্র ছড়ালে কোভিড অসুখ। , ক্লান্তঝড়ে বাতাস লুটায় ভেঙে পড়া দেহের প্রশাখা খুলে ; সুঠাম আকুতি- ছোঁয়ালে অবাধ্য চুম্বনের মূলে। লালা যেনো দগ্ধটানে গলে পরে… মাটির চিৎকার ভেঙ্গে জেগে ওঠা ফাটলে মুখের ফণা। কবরের সারি সারি দুর্গম কার্নিসে কাকের বাসায় বসে […]
বয়স
আমাদের বাড়ির দক্ষিণ দিকটারহয়তো বয়স হয়ে গেছেআকাশের বয়স হয়েছেহয়তোবা ঘুমেরওযেভাবে বয়স হয়ে গেছে আমাদের অনুভূতিরআমাদের ফড়িংটাও হয়তো আজ বুড়োসজনের ঝুড়ি, বাতাবি বনের অন্ধকারসেই যে বসন্তের দিকে ঝুকে থাকাআমাদের দৃষ্টিগুলোআমাদের চুল যেভাবে মরছেহয়তো আমাদের ছোটবেলার গাছগুলোহয়তোবা গাছেদের পাতাগুলোআমাদের নদীটারও হয়তো বয়স হয়ে গেছেবয়স হয়ে গেছে জলের জোনাকলতারসব বুড়োমাঠ বুড়োরাখাল বুড়োবুড়ো খোকাখুকিচোখদেরও বয়স হয়েছেস্মৃতিকে দেখার পরও মনে […]
শয্যা
শয্যা মানে বিশ্রাম স্নিগ্ধ পাটাতনশয্যা মানে শরীর—বিছানো সুপ্তি চক্ষুমুদে থাকাঘুম কিংবা মহাঘুম পূর্ণ স্বস্তি পূর্ণ সুখ—ধ্যান।এরকম পরিবেশে শুয়ে থেকে একবার মনে হলোএই নশ্বর দেহ এত এত আত্মার বিলাপবুকে পুষে বেঁচে থাকা-মুগ্ধ বেঁচে থাকার উল্লাস!মন ও শরীর দুই আলাদা আলাদা বিন্যাস:শরীর অসুস্থ হলে দুচোখে ক্লান্তির ছায়া নামেঘুম কিংবা মহাঘুমে নিজেকেই সঁপে দিতে হয়দূর অনন্তের কাছে।মনও অসুস্থ […]
জলের ভূমি
আমার হেটে যাওয়া পথ প্রতিদিন এই জলের উপর দিয়ে হেটে যাই তরঙ্গ আর স্রোতের তীব্র সংশ্লেষ কতটা হালকা হয়েছি আমি শরীরে আর ফুসফুসে ভরেছি বাতাস নদী, ক্যানাল,সাগর কিংবা হৃদের জলও নিরেট স্রোতে কখনো অতীত থাকে না যে জলে পা দিয়েছি , সে জলে বয়ে গেছে বহুদূর যে জলে আমি লাফিয়েছি সে জল আজ বায়ু মণ্ডলের […]